– দলিত স্টাডিজ বনাম ব্রাহ্মণ স্টাডিজ
Everytime the subaltern wants to speak, he is silenced! যতবারই অবর্ণ মানুষেরা কিছু বলতে চেয়েছে ততবারই তাদের গলা ঠেসে দেওয়া হয়েছে এবং ২১ এ মে, সেদিন ও হলো।
নম: বুদ্ধায়। কিছুদিন আগে গৌতম চক্রবর্তীর একটা আর্টিকেল পড়ে খুব বিচলিত হয়েছিলাম, সেটা সবাইকে জানানো দরকার? সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করার মজাটাই আলাদা আর তাকে ইনক্লুসিভ কালচার বলা হয়। কারো সঙ্গে মতে অমত আছে বলে তাকে সতীনের চোখে দেখব তা নয়। তাই এই কলম ধরলাম আনন্দবাজারকে লিখতে। ছোট বেলা থেকে আনন্দবাজার পড়ে এসেছি আর আনন্দবাজার এর সূত্রে চিনেছি নবনীতা দেবসেন, সুনীল শংকর ও সুচিত্রা ভট্টাচার্যকে।
কিছুদিন আগে আনন্দবাজার এ গৌতম চক্রবর্তীর একটা আর্টিকেল বেরিয়েছিল মতুয়াদের ওপরে। উনি আর্টিকেলের শুরুতে লিখছেন যে উনি মতুয়া ধর্মের ওপর একটা বই খুজতে গিয়ে একটা কপিও পেলেন না। মতুয়া ধর্ম সমন্ধে জানতে পৌঁছে গেছেন লেখোয়ার মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কাছে। মনোরঞ্জন ব্যাপারি একাডেমিক নয়, তৃণমূল পার্টির পলিটিশিয়ান। আমরা academician রা অনেক ভাবে তথ্য বের করি। সাহিত্য, কবিতা, নাটক, বই, মিছিল, লোকের মুখ থেকে শোনা গল্প ও সরকারি নথি পত্র থেকে।
বাবাসাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এই সংবিধান এবং তা implemented হয়েছে ১৯৫০ থেকে আর তার সঙ্গে মহিলাদের ও নিম্ন বর্ণের মানুষের জন্য স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি ও সরকারি দফতরের দরজা খুলে গেছে। আমরা শিডিউল্ড কাস্ট এর মানুষেরা বাবাসাহেবের কাছে ঋণী কারন তিনি আমাদের অস্পৃশ্যতার থেকে এনে দিয়েছেন মুক্তি।
দলিত সাহিত্যিকদের লেখা নিয়ে যথেষ্ট ট্রান্সলেশন এর কাজ চলছে কিন্তু আমি শ্রম জীবী দলিত ঘরের মেয়েদের জিজ্ঞাসা করেছি তারা দলিত সাহিত্যের কথা শুনেছে কিনা, তারা অকপটে বলেছে না?
আমি কিছু কিছু অরিজিনাল writings পড়েছি, ট্রান্সলেশন করার জন্য নয, বিশ্লেষণ মূলক কাজের জন্য। যেমন কি ভাবে দলিত সাহিত্যিকরা মানুষের চরিত্র চিত্রায়ন করেন।
আমার পূর্ব পুরুষ, মানে আমর বাবার দাদু, শ্রীবাস বিশ্বাস, হরিচাঁদ ঠাকুর কে মানতেন, আমি ও মানি কিন্তু সোশ্যাল এবং রিলিজিয়াস লিডার হিসেবে মানি। মাসলো র ল অনুযায়ী প্রথম পেটের ক্ষুধা নিবৃত্তি তার পর সব কিছু। পেট শান্ত হবার পর মানুষের দরকার পড়ে মনের খিদে মেটানোর।
আর মনের দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে হরিচাঁদ ঠাকুর মানুষকে বলেছেন হাতে কাম মুখে নাম। ওনার আগে সন্ত রবিদাস জি এই একই কথা বলেছেন। কাজের মধ্যে ঈশ্বর আছেন। তার মানে মানুষকে বাস্তবের মধ্যে থেকে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে বলছেন। আমরা শ্রম জীবী মানুষ, দরজা বন্ধ করে বসে বসে ভগবানের নাম করার বিলাসিতা কোথায়? ঠাকুমা কে আমি কাঁথা সেলাই করতে করতে ভাটিয়ালি সুরে গান করতে দেখেছি। মামারবাড়ির গ্রামে, বাড়িতে বাড়িতে মহোৎসব হতে দেখেছি। সারা রাত গান হতো, দিনে জমিতে কাজ হত।
তাই মতুয়া আন্দোলন বুঝতে হরিচাঁদ ঠাকুরের ওপর কোনো লেখা বই যথেষ্ট নয় কারণ ঠাকুর মুখে নির্দেশ দিতেন। প্রত্যেকটা ধর্মীয় গ্রন্থের মধ্যে addition ও deletion হয় সময়োপযোগী করে তুলতে। কোন বই সেই জন্য মূল গ্রন্থ নয় যে সেটা হাতে পেলেই যে আসল তত্ত্ব পেয়ে গেলাম তা নয়।
শিক্ষিত শিডিউল্ড কাস্টের মানুষেরা বিভিন্ন ভাবে দেখে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরকে । সেই জন্য আমার লেখা বা আর কারো লেখা “the ultimate” হতে পারেনা। সেই জন্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের ওপর অনেক রকম তথ্য পাওয়া স্বাভাবিক।
আর মতুয়া ধর্মের শ্রেষ্ঠ অবদান হলো মানুষকে শুধু শিক্ষিত হতে বলেছেন তা নয় তাদেরকে রাজা হতে বলেছেন সেই জন্য ওনার চিন্তা ভাবনা কে কোনো বইয়ের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না এবং ‘মতুয়া ধর্ম এক আন্দোলন যেটা মানুষ তৈরী করেছে’ আর এই শেষ কথাটা গৌতম চক্রবর্তী লিখেছেন? গৌতম চক্রবর্তী বই খুঁজে পেলেন না তাই উনি গেলেন “লেখোয়ার” মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে জিজ্ঞাসা করতে কিন্তু উনি গৌতম বাবুকে মতুয়া এক্সপার্ট দের লিস্ট ধরিয়ে দিতে পারলেন না।
মন্দাকিনী ভট্টাচার্য ও জয়দীপ সরঙ্গি দলিত সাহিত্যিকদের নিয়ে কাজ করেন এবং একাডেমিক সার্কেল এ এদের নাম আছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে গৌতম বাবুর কাছে গেলেন না?
বাংলায় মতুয়া ধর্মের ওপর অনেক লেখক এবং লেখা বই আছে। আমরা রিসার্চ এ ফিল্ড research এ স্নোবলিং কথাটা ব্যবহার করে থাকি সেটা উনিও ব্যবহার করলেন কিন্তু ইন্টারনেট ঘাটলে খুব সহজে পৌঁছে যেতেন মতুয়া এক্সপার্ট দের কাছে। যেমন Dr Birat Bairagya এর নাম মতুয়া স্টাডিজ এর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। জ্ঞানী এবং সুলেখক এর মধ্যে মহানন্দ হালদার মহাশয় এর নাম এসেই যায়।
Dr বৈরাগ্যের রিসার্চের পর পরই মতুয়া স্টাডিজ একাডেমিক রিসার্চ এরিয়া হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং আনন্দবাজার পত্রিকাতে খবরটি বের হয় বহু বছর আগে।
হরি নাম সংকীর্তন গুলোতে বিরাট বৈরাগ্যকে ডাকা হত আর একবার বহুজন সমাজের মিটিং এ Dr Birat Bairagya কে ডাকা হয়েছিল এবং উনি সেই মিটিংয়ে এমন ইমোশনাল জোয়ার বইয়েছিলেন যে আমি হেসে বলেছিলাম এটা কীর্তন সভা না মিটিং।
মা বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন “কি বলছেন সেইটা শোন, আসল মানেটা বোঝার চেষ্টা কর”। পরে দেখলাম ধর্ম সংক্রান্ত বক্তৃতা ত বিজেপির মিটিং এ দেওয়া হয় তবে সেখানে অনেক গাঁজাখুরি গল্প বেশি থাকে। আর বহুজন এর মিটিং এ মানুষের সমাবেশ করা হয় মানুষকে তার হারানো ইতিহাসকে পাইয়ে দিতে। সেই ইতিহাস গড়ার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে।
আর শিক্ষিত মানুষের ও ব্লাইন্ড স্পট থাকে যেমন এত তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেও নবনীতা দেব সেন বলেন যে যা কিছু ওনার মা রাধা রানি দেবী করেছেন সেটা ওনার জেদ এর জন্য। আমি বলি সেটা নয়। রাধারাণী দেবীর শাশুরিমা তাকে আবার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। বিধবা বৌমাকে উনি বড়ো ছেলের সম্মান দিয়েছিলেন আর শুধু তাই নয় টেবিল চেয়ার ও দিয়েছিলেন লেখবার জন্য। আমি বলি এটা একধরনের কনফিডেন্স বিল্ডিং এক্সারসাইজ। উনি রাধারাণীর ওপর আস্থা রেখেছিলেন যে সে কিছু করতে পারবে, আর শাশুরি হয়ে বিধবা বৌমাকে অলক্ষুণে না বলে তাকে চেয়ার টেবিল এ বসিয়ে দিয়ে সাংঘাতিক মনের জোর পাইয়ে দিয়েছিলেন। সেযুগে উচ্চ বর্ণের বিধবা মেয়েদের তখন বৃন্দাবনে যেতে হতো ।
এই আস্থাটা একাডেমিক স্তরে দেখা যায় না। ভাষা জ্ঞান ও উচ্চারণ নিয়ে সবাই ব্যস্ত। ভাষার ওপর দক্ষতা থাকা ভালো কিন্তু উচ্চারণ নিয়ে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। ফরাসি ভাষায় বস কে বলে “chef” আর ইংলিশ এ chef মানে রাঁধুনি। তাই ভারতীয় ছাত্র ছাত্রীরা যদি সঠিক উচ্চারণ না করে থাকে অসুবিধা কোথায়। মানে তো ভুল হলে তখন শুধরে দেওয়া যেতে পারে। সুন্দর ভাষায় লেখার আর্টিকেল এর সারমর্ম যদি অতি সাধারণ হয় সেই লেখার মূল্য থাকে কি?
জয়দীপ সরঙ্গীর নামটা নেট এ পাওয়া যায়। ওনার কাছে গৌতম চক্রবর্তী কি গিয়েছিলেন? পৌঁছে গেলে ত কপিল ঠাকুর, ও নকুল মল্লিকের কাছে ও পৌঁছে যাওয়া যেত যাদের কাছে অনেক ভালো তথ্য পাওয়া যেতো। এই দুই জন লেখক award পাওয়া সাহিত্যিক। শিডিউল্ড কাস্ট দের মধ্যে অনেকে লেখা লেখি করেন, নেট ঘাটলে পাওয়া যায়। একটা সমাজের সোশ্যাল মুভমেন্ট বুঝতে গেলে সেই সমাজের বুদ্ধি জীবীদের কাছে না যাওয়াতো অন্যায়। এবং সেই রিসার্চ এর কি কোন মূল্য আছে?
ওটা কি রিসার্চ বলা যায়! partial ইনফরমেশন accumulation বা biased research এর আশঙ্কা থেকে যায়। Research এ স্যাম্পল সাইজ বলে একটা কথা আছে। আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে এত গুলো লোকর সঙ্গে উনি আরও ভালো পেপার লিখতে পারতেন। আমি বলব এই ধরনের attitude এক ধরনের caste violence বা wilfully ignoring the intellectuals of a huge section of the society is nothing but committing intellectual barbarism that is ignoring their perspectives।
আর দলিত শ্রেণীর মানুষে রা অনেক বেশি আত্ম বিশ্লেষণ করে এবং বাবসাহেব ও ভীষণ সেলফ এনালাইসিস করতেন টা Babasaheb Ambedkar এর বই পড়লে বোঝা যায়। দলিত মানুষেরা বা গরীব মানুষেরা তাদের আত্নসম্মান নিয়ে সেনসিটিভ হয় কারণ তুচ্ছ থেকে তুচ্ছাটি কারণে তাদের অসম্মান করা হয়। Babasaheb সব জায়গাতে লিখছেন “কেন, এবং কি জন্য লিখছেন! আর এই রকম ইন্টেগ্রিটি ইন্ডিয়ান একাডেমিক এ পাওয়া দুষ্কর।
অমি একজন রিসার্চ স্কলার হয়ে বলছি academically একটা honesty এবং humility থাকা উচিত বলে মনে করি। “মতুয়া ধর্মের” ওপর অনেক কাজ হয়েছে। চতুর্থ দুনিয়ার স্টল এ গেলে ত ঝুড়ি ঝুড়ি লেখা ও মানুষের contacts পেয়ে যেতেন গৌতম বাবু।
এই wilful negligence লক্ষ্য করা গেছে গায়ত্রী চক্রবর্তীর মধ্যে একটা দুবাই কনফারেন্স এর ভিডিও তে। উনি একজন কায়স্থ পাবলিশার কে বলছেন আপনার কাস্ট কি? পাবলিশার বললেন উনি কায়স্থ কিন্তু গায়ত্রী চক্রবর্তী মানতে রাজি নন। এটা কি নিজের কাস্ট arrogance
নয়? ব্রাহ্মণ ঠিক করে দেবে কার কী জাত। কিছু দিন আগে নেট পারা তোলপাড় হলো কারন একজন JNU এর স্টুডেন্ট অনশুল কুমার, যে নিজেকে প্রফেসর অফ Brahmin Studies বলে থাকে। যখন গায়ত্রী চক্রবর্তী কে একটা প্রশ্ন করার জন্য হাত তুললেন তখন তার উচ্চারণ সঠিক নয় বলে সেটা নিয়ে মেতে উঠলেন গায়ত্রী চক্রবর্তী কিন্তু ওনার আসল কাজ ছিল ছাত্রের প্রশ্নের জবাব দেওয়া নিয়ে।
একজন মিস বসু ত গায়ত্রীর লেকচারের মধ্যে ডেমোক্রেসির importance টা কেউ বুঝতে পারলো না বলে আক্ষেপ করেছেন। শুধু আমি না, সবাই বলবে ডেমোক্রেসি প্র্যাকটিস করার কথা, তোতা পাখি বা গায়ত্রী মন্ত্রের মত আওড়ালে চলবে কেনো? এবং সেটার প্রয়োগ সব চেয়ে আগে হবে একাডেমিকস এ কিন্তু সেটা হলো কই? ভারতীয় ছাত্রের ফরাসি উচ্চারণ ঠিক না হবার কথা। কিন্তু তার প্রশ্নের জবাব ৮২ বছরের মহিলা দিলেন না শুধু অবজ্ঞা এবং হিন ব্যবহার করলেন এটা কি ধরনের একাডেমিক character?
বুদ্ধ কে আমরা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বলে মানি। উনি বলছেন “আমি বলছি বলে মেনে নিও না”! এই সৎ সাহস কিছু কিছু ব্রাহ্মণ শিক্ষকদের দের মধ্যে দেখছি না।
কিছুদিন আগে পড়ছিলাম একজন বাঙালি রাধারমন সিকদার বাবু মাউন্ট এভারেস্ট এর উচ্চতা সবার আগে মেপে দিয়েছিলেন। এবং একজন ইন্ডিয়ান লিখছেন colonialism এর কারনে ভারতীয়দের achievement লুকিয়ে রেখেছিল সাহেবরা। তাহলে এই যে এত মতুয়া বিশেষজ্ঞ পশ্চিম বঙ্গে ও বাংলাদেশে তাদেরকে গৌতম বাবু জানতে পারলেন না আর মতুয়াদের ওপর একটা আর্টিকেল লিখে দিলেন। এটা কি ব্রাহমিনিকাল arrogance বা বেয়াদপি নয় কি?
সত্যজিৎ রায়ের বাংলা সিনেমা গুপি গাইন বাঘা বাইন এ একটা দৃশ্য আছে। গ্রামের মাতব্বররা গুপি আর বাঘা কে ঘিরে ধরেছে এবং একজন ব্রাহ্মণ লাঠি তুলে বলছেন যে “এই আমার লাঠির ডগার ছায়া যখন ওই প্রস্তর খন্ডে পড়বে তখন বুঝবি দিন শেষ হয়ে গেছে।”
হ্যা এখন সেই সব আজ গুবি গল্পের দিন শেষ হয়ে এসেছে। বিজ্ঞানএর যুগ এখন। ইন্টারনেট এর বলে এখন অনেক অজানা তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সেই জন্য সময় এসেছে সত্যি কথাটা সত্যি করে বলার।
আমি বিনয় মজুমদারের ইন্টারভিউ দেখেছি যেখানে উনি বলছেন “কাউকে নিয়ে তো কবিতা লিখতে হবে। তাই আমি ওনাকে নিয়ে লিখেছি কিন্তু আমি ওনাকে মাত্র একবার দেখেছি। বিনয় মজুমদারের কবিতা কে দু বাংলার মানুষ প্রেমের কবিতা হিসেবে দেখে। সেদিন অংশুল কুমারের সাথে গায়ত্রী যে ব্যবহার করেছেন, বিনয় মজুমদার চমকাবেন না, লজ্জিত হবেন। আমি সত্যি বাঙালি হিসেবে লজ্জিত।
সব শেষে বলছি আমি সবাইকে নাম ধরে বলছি, বাবু বলছি না সেই জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর এই লেখার মধ্যে সিস্টেমিক ত্রুটির কথা বলতে চেয়েছি সেই জন্য কারো সেন্টিমেন্ট এ আঘাত করার জন্য নয় আর কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
বুদ্ধং সরণম গাছামি।